Posts

Showing posts from July, 2018

শাস্ত্রমতে গ্রহ রত্নের প্রাথমিক পরিচয় ।

Image
শাস্ত্র অনুযায়ী মানব জীবনে প্রভাব বিস্তারকারী গ্রহ রত্নের সংক্ষিপ্ত পরিচয় — চুনি / মানিক (Ruby) :  রবি গ্রহের (Sun) প্রভাব বৃদ্ধি করার জন্য ধারণ করা হয়।  রক্ত প্রবাল / লাল পলা (Red Coral) :  মঙ্গল গ্রহের (Mars) প্রভাব বৃদ্ধি করার জন্য ধারণ করা হয়।  মুক্তা / মতি (Pearl) :  চন্দ্র গ্রহের (Moon) প্রভাব বৃদ্ধি করার জন্য ধারণ করা হয়।  পীত পোখরাজ (Yellow Sapphire) :  বৃহঃস্পতি গ্রহের (Jupiter) প্রভাব বৃদ্ধি করার জন্য ধারণ করা হয়।   পান্না (Emerald) :  বুধ গ্রহের (Mercury) প্রভাব বৃদ্ধি করার জন্য ধারণ করা হয়। হীরা (Diamond) : শুক্র গ্রহের (Venus) প্রভাব বৃদ্ধি করার জন্য ধারণ করা হয়। নীলা / নীলকান্তমণি (Blue Sapphire) : শনি গ্রহের (Saturn) প্রভাব বৃদ্ধি করার জন্য ধারণ করা হয়।  গোমেদ (Gomedh) : রাহু গ্রহের (Rahu) প্রভাব বৃদ্ধি করার জন্য ধারণ করা হয়। তবে মানব সমাজে বসবাসকারী কোন মানুষের সাধারণত এই রত্ন ধারণ করা উচিৎ নয়।  বৈদুর্য মণি (Cat's Eye) : কেতু গ্রহের ...

মানব জীবনে প্রভাব বিস্তারকারী নবগ্রহের পরিচয়।

Image
শাস্ত্র অনুযায়ী মানব জীবনে প্রভাব বিস্তারকারী নবগ্রহের সংক্ষিপ্ত পরিচয় — রবি (Sun) :  মানুষের  আত্মার কারক ।  মঙ্গল (Mars) :  মানুষের  শরীরের কারক ।  চন্দ্র (Moon) :  মানুষের  মনের কারক ।  বৃহঃস্পতি (Jupiter) : দেব গুরু - মানুষের  জ্ঞানের কারক ।  বুধ (Mercury) :  মানুষের  বুদ্ধির কারক ।  শুক্র (Venus) :  দানব গুরু - মানুষের জাগতিক বাসনার কারক ।  শনি (Saturn) : ন্যায় ও কর্মফল দাতা - মানুষের  দুঃখ, কষ্ট ও রোগের কারক ।  রাহু (Rahu) : ছায়া  গ্রহ - মানুষের  ভুল রাস্তা ও রোগের কারক ।  কেতু (Ketu) : ছায়া  গ্রহ - মানুষের  মোক্ষলাভের কারক।  ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায় । (নিজের ভাগ্য সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে নিম্নে দেওয়া  আই ডি তে ইমেল করুন, সঙ্গে নিজের নাম, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ এবং সঠিক জন্ম সময় দিতে ভূলবেন না:   joysrikrishnaradha@gmail.com)

ভুল রত্ন ধারণে বিপদ অবশ্যম্ভাবী ।

Image
রত্ন ধারনের কিছু খুবই সাধারন বিধি প্রতেকের জানা উচিত ।  রত্ন ধারণ করা মানেই প্রচুর অর্থ ব্যয়। এতে আপনার থেকে আপনার জ্যোতিষীর উৎসাহ অনেক বেশী। কারন আপনার লাভ হোক বা না হোক, জ্যোতিষীর লাভ অনিবার্য ।  খুবই কম অথবা বিনা খরচে খুব সহজ প্রতিকারের ব্যবস্হা ভারতীয় শাস্ত্রে দেওয়া আছে। কিন্তু এতে জাতকের প্রচুর ফল লাভ হলেও দোকান খুলে বসা পন্ডিতের লবডঙ্কা। জন্মপত্রিকায় মারক গ্রহের রত্ন ধারন করলে সর্বনাশ  নিশ্চিত । সঠিক রত্ন যদি ভুল ধাতুতে ধারণ করা হয় তখন ক্ষেত্রবিশেষে তা নিষ্ফল অথবা ক্ষতিকারক । সঠিক রত্ন যদি ভুল আঙুলে ধারণ করা হয় তখন ক্ষেত্রবিশেষে তা নিষ্ফল অথবা ক্ষতিকারক । সঠিক রত্ন যদি সঠিক ভাবে করা শোধন  ছাড়াই ধারণ করা হয় তখন ক্ষেত্রবিশেষে তা নিষ্ফল অথবা ক্ষতিকারক । সঠিক রত্ন যদি সঠিক সময় এবং সঠিক দিকে মুখ করে ধারণ করা না হয় তখন ক্ষেত্রবিশেষে তা নিষ্ফল অথবা ক্ষতিকারক । একাধিক রত্ন ধারণের ক্ষেত্রে  যদি নির্বাচিত রত্নদের গ্রহদেবতা একে অপরের চরম শত্রু হয়, তাহলে জাতকের বিপদ আসন্ন। সর্বদা সঠিক  জ্ঞানী ও বিদ্যান জ্যোতিষীর পর...

হাতুড়ে ডাক্তার ও হাতুড়ে জ্যোতিষী দুজনেই সমান বিপজ্জনক ।

Image
কিছু মানুষ, ডাক্তারী  পাশ না করে, শুধু   কিছুদিন ডাক্তারের সহায়ক হিসাবে কাজ করার পর,  চিকিতৎসক হিসাবে দোকান খুলে বসেন উপার্জনের জন্য।  এরাই মানব সমাজে হাতুড়ে ডাক্তার নামে প্রসিদ্ধ।    হাতুড়ে ডাক্তার ও সমাজে তার ভূমিকা সম্পর্কে ভূক্তভোগীরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন।  কিছু তথাকথিত জ্যোতিষী , যাদের জ্যোতিষশাস্ত্র বিষয়ে ক্ষুদ্র জ্ঞান , কিন্তু কিভাবে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ও তার পকেট কেটে সর্বস্বান্ত  করতে হয় এবং নিজের আখের গোছাতে হয় সেই বিষয়ে পারদর্শী , তারাই সমাজে হাতুড়ে জ্যোতিষী নামে প্রসিদ্ধ ।  আরো হাস্যকর ব্যপার হল যে, এই জ্যোতিষীরা  স্বল্প জ্ঞানের  অহংকার করতে গিয়ে নিজেদেরকে নিয়তিরূপ ভগবান প্রমান করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন।  এদের অল্পবিদ্যা অতিমাত্রায় ভয়ংকর হয় এবং নিজেদের স্বার্থসম্পন্ন করার জন্য উপকারের বদলে মানুষের অপকার করে বসেন।  ধরা যাক কোন জাতকের জন্মকুন্ডলী বিচার করে পন্ডিতজি বললেন, সরকারী চাকরি পেতে রুবি নামক রত্ন ধারণ করে রবিকে শক্তিশালী করতে হবে। রত্ন বিক্রি হল আর পন্ডিত ধনবান  হলেন। কিন্তু প...

ছাত্র-ছাত্রীর পুস্তক-পাঠ ও ঈশ্বর ভক্তের ধর্মগ্রন্হ-পাঠ এর নিয়ম।

Image
শাস্ত্রমতে যেকোনো  পুস্তক, তা সে পাঠ্য বই হোক বা ধর্মগ্রন্থ, তার পাঠের কিছু নিয়ম আছে যা পালন করলে পাঠক দারুণ উপকৃত হয়।  পাঠ করার সময় পাঠককে সেই দিকে মুখ করে বসতে হয়, যেদিকে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টিকারী সূর্যদেবতার উদয় হয়, অর্থাৎ পূর্বদিকে।  পূর্বদিক থেকে আগত শক্তি দ্বারা মানুষের পঞ্চ ইন্দ্রিয় সক্রিয় ও তেজস্বী  হয়। ধর্মগ্রন্থ পাঠ শুরুর পূর্বে সিদ্ধিদাতা ভগবান শ্রীগণেশ কে স্মরণ করে ভক্তিসহ প্রণাম করতে হয়। এইভাবে পাঠ করলে ছাত্র-ছাত্রীর মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পায় ও বিদ্যালাভ সফল হয়।  এইভাবে পাঠ করলে  ঈশ্বর অনুরাগী ভক্তের ধর্মগ্রন্হ-পাঠের উদ্দেশ্য সফল হয়।  ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায় । (নিজের ভাগ্য সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে নিম্নে দেওয়া  আই ডি তে ইমেল করুন, সঙ্গে নিজের নাম, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ এবং সঠিক জন্ম সময় দিতে ভূলবেন না:   joysrikrishnaradha@gmail.com)

ভাগ্য দেবতা অধিষ্ঠান করেন মানুষের হাতেই ।

Image
বেদ এবং অন্যান্য পবিত্র হিন্দু গ্রন্হাবলি হল মুনি-ঋষিদের  বহু সাধনার ফসল যাতে মানুষের পালনীয় বিভিন্ন সামাজিক বিধি এবং সদাচার এর বর্ণনা করা হয়েছে।   শাস্ত্রমতে  ভাগ্য দেবতা অধিষ্ঠান করেন মানুষের হাতেই ।করতলের অগ্রভাগে বিরাজ করেন মাতা লক্ষ্মী। করতলের মধ্যভাগে বিরাজ করেন মাতা সরস্বতী। করমূলে বিরাজ করেন প্রভূ শ্রীগোবিন্দ।  প্রত্যহ সকালে ঘুম থেকে উঠে দুটো হাত একত্রিত করে সেখানে মাতা লক্ষ্মী, মাতা সরস্বতী ও ভগবান শ্রীগোবিন্দ এর দর্শন করে তাদের উদ্দেশ্যে ভক্তিসহ প্রণাম জানানো উচিৎ।  এতে ভগবানের কৃপা ও সৌভাগ্যলাভ হয়।  প্রণাম মন্ত্র - “করাগ্রে বসতে লক্ষ্মী,  করমধ্যে সরস্বতী, করমূলে তু গোবিন্দঃ, প্রভাতে করদর্শনম । ” ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায় । (নিজের ভাগ্য সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে নিম্নে দেওয়া  আই ডি তে ইমেল করুন, সঙ্গে নিজের নাম, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ এবং সঠিক জন্ম সময় দিতে ভূলবেন না:   joysrikrishnaradha@gmail.com)

সূর্যদেবতার প্রণাম এবং তাঁর কৃপা লাভের সুফল ।

Image
প্রত্যহ সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা ত্যাগ করার পর পূর্বদিকে মুখ করে হাত জোড় করে ভক্তিপূর্বক সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে প্রণাম করা উচিত ।  সূর্যদেবতার কৃপা লাভের সুফল : আত্মশুদ্ধি  দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক শক্তির শ্রীবৃদ্ধি  সকল প্রকার দূর্বলতার অবসান   ইচ্ছাশক্তির বলবৃদ্ধি    তীক্ষ্ণ জ্ঞান  ও বুদ্ধির অধিকার অর্জন   রোগমুক্তি  সামাজিক  ক্ষেত্রে নাম ও যশ লাভ  কর্মে সাফল্য লাভ  ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায় । (নিজের ভাগ্য সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে নিম্নে দেওয়া  আই ডি তে ইমেল করুন, সঙ্গে নিজের নাম, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ এবং সঠিক জন্ম সময় দিতে ভূলবেন না:   joysrikrishnaradha@gmail.com)

জগতের প্রান সঞ্চারক সূর্য দেবতার কৃপালাভ ।

Image
 শাস্ত্র মতে মানুষের জীবনের  সাফল্য-ব্যর্থতা, সুখ-দুঃখ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে জ্যোতিষ্কলোক দ্বারা প্রভাবিত  ।  সূর্য দেবতার কল্যাণে জগতে প্রানের সৃষ্টি ও রক্ষা হয় ।  এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সূর্য হলেন একমাত্র দেবতা যাকে আমরা প্রত্যহ দর্শন  করার সৌভাগ্যের অধিকারী ।  সূর্য দেবতা সমস্ত গ্রহ-নক্ষত্রদেরকে ও প্রভাবিত করেন ।   সূর্য প্রণাম : প্রত্যহ সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা ত্যাগ করার পর পূর্বদিকে মুখ করে হাত জোড় করে ভক্তিপূর্বক সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে প্রণাম করা উচিত ।  যেকোনো  সূর্য প্রনাম মন্ত্র উচ্চারণ করা যেতে পারে  । যেমন  — “ওঁ সূর্যদেবায় নমঃ” ।  এর দ্বারা আমরা সূর্যদেবের অসীম কৃপা লাভের  অধিকারী হবো ।  আগামী দিনে আমরা কৃপা লাভের ফলাফল বিস্তারিতভাবে জানবো ।  ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায় । (নিজের ভাগ্য সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে নিম্নে দেওয়া  আই ডি তে ইমেল করুন, সঙ্গে নিজের নাম, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ এবং সঠিক জন্ম সময় দিতে ভূলবেন না:   joysrikrishnaradha@gmail.com)

মানব জীবন ঈশ্বরের দূর্লভ দান ।

Image
হিন্দু শাস্ত্রে জন্মান্তর এর কথা বলা আছে।  শাস্ত্র অনুযায়ী আত্মা হল অবিনশ্বর।  শরীরের মৃত্যু হলে আত্মা আবার নতুন শরীর ধারণ করে ।  ৮৪ লক্ষ নিম্ন শ্রেণীয় প্রাণীদেহের  জন্মের পর মানব জন্ম লাভ হয় ।  ঈশ্বরের  শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হল মানুষ যা বহু সাধনা,  সুকর্ম ও বহু যোনি  অতিক্রান্ত করার পর লাভ করা যায় ।  তাই মানব জীবন হল ঈশ্বরের  দূর্লভ দান ।  স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন “জন্মেছিস তো দাগ রেখে যা”। সুকর্ম দ্বারা এই দাগ রচিত হোক এই ধরাধামে ।  ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায় । (নিজের ভাগ্য সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে নিম্নে দেওয়া  আই ডি তে ইমেল করুন, সঙ্গে নিজের নাম, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ এবং সঠিক জন্ম সময় দিতে ভূলবেন না:   joysrikrishnaradha@gmail.com)